ভেষজ চিকিৎসা

তেলাকুচা পাতার ঔষধী গুণ

সবজি হিসাবে তেলাকুচা পাতা অনেকের কাছে পসন্দনীয়। এ পাতার গুণাগুণের কারণেই সকলের কাছে এই ভালো লাগা। তাই তেলাকুচা পাতার ঔষধী গুণ ও উপকারিতা নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-

ডায়াবেটিস : ডায়াবেটিস হ’লে তেলাকুচার কান্ডসহ পাতা ছেঁচে রস তৈরি করে আধাকাপ পরিমাণ প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে খেতে হবে। তেলাকুচার পাতা রান্না করে খেলেও ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়।

জন্ডিস : জন্ডিস হ’লে তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস তৈরি করে প্রতিদিন সকালে আধাকাপ পরিমাণ খেতে হবে।

পা ফোলা রোগে : গাড়িতে ভ্রমণের সময় বা অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসলে পা ফুলে যায়, একে শোথ রোগ বলা হয়। তেলাকুচার মূল ও পাতা ছেঁচে এর রস ৩-৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খেতে হবে।

শ্বাসকষ্ট : বুকে সর্দি বা কাশি বসে যাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট (হাঁপানি রোগ নয়) হ’লে তেলাকুচার মূলও পাতার রস হালকা গরম করে ৩-৪ চা চামচ পরিমাণ ৩ থেকে সাত দিন প্রত্যহ সকালে ও বিকেলে খেতে হবে।

কাশি : শ্লেস্মাকাশি হ’লে শ্লেস্মা তরল করতে এবং কাশি উপশমে ৩-৪ চা চামচ তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে আধা চা-চামচ মধু মিশিয়ে ৩ থেকে ৭ দিন প্রত্যহ সকালে ও বিকেলে খেতে হবে।

শ্লেম্মাজ্বর : শ্লেষ্মাজ্বর হ’লে ৩-৪ চা চামচ তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে ২-৩ দিন সকাল ও বিকেল খেতে হবে।

মায়ের দুধ স্বল্পতা : সন্তান প্রসবের পর অনেকের বুকে দুধ আসে না বা শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখা দিলে ১টা করে তেলাকুচা ফলের রস হালকা গরম করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকেল ১ সপ্তাহ খেতে হবে।

ফোঁড়া ও ব্রণ : ফোড়া বা ব্রণ হ’লে তেলাকুচা পাতার রস বা পাতা ছেঁচে ফোঁড়া ও ব্রণে প্রতিদিন সকাল-বিকেল ব্যবহার করতে হবে।

আমাশয় : প্রায়ই আমাশয় হ’তে থাকলে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস ৩-৪ চা চামচ ৩ থেকে ৭ দিন সকালে ও বিকেলে খেতে হবে।

অরুচিতে : অরুচি হ’লে তেলাকুচার পাতা একটু সিদ্ধ করে পানিটা ফেলে দিয়ে ঘি দিয়ে শাকের মত রান্না করতে হবে। খাবার গ্রহণের প্রথমেই সেই শাক খেলে খাওয়াতে রুচি আসবে। এই শাক খেলে পেটের গোলমাল কমে। পেটে সমস্যা ও বদহজমের জন্য এই শাক খাওয়ার রেওয়াজ আছে। তেলাকুচার ভেষজ গুণ অনন্য। এর পাতা, লতা, মূল ও ফল সবই ব্যবহার করা যায়।    

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

আরিও দেখুন
Close
Back to top button