স্বাস্থ্য পরামর্শ

ক্যান্সার প্রতিরোধে পালং শাক

শাক-সবজি খাওয়ার কথা শুনলেই বাচ্চাদের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির মতো অবস্থা হয়। অন্যদিকে পালং পনির বা পালংয়ের স্যুপ খাই আমরা সবাই। তবে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন পালং শাক খাওয়া আমাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজন।

পালং শাকের খাদ্যগুণ :

প্রতি ১০০ গ্রাম পালংশাকে কার্বোহাড্রেট থাকে প্রায় ৩.৬ গ্রাম, প্রোটিন থাকে ১.৫ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ০.১ থেকে ১.০ গ্রাম। এছাড়া ভিটামিন-A, ভিটামিন-B, ভিটামিন-C, ভিটামিন-E, ভিটামিন-K রয়েছে। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, প্যাটি অ্যাসিডও থাকে।

উপকারিতা :

পালং শাক পেট পরিষ্কার রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া পালং শাক রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে, দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়। ক্যানসার প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসাবে পালং শাক অপরিহার্য। পালং শাকের রস দিয়ে গারগেল করলে গলা জ্বালা কমে যায়। হার্টের অসুখেও যথেষ্ট উপকারী। কিডনিতে পাথর থাকলে, তা গুঁড়ো করতে সাহায্য করে। দেহ ঠান্ডা ও স্নিগ্ধ রাখতে পালং শাক অতি প্রয়োজনীয়। অনেকের মেদ বৃদ্ধি ও দুর্বলতায় হাফ ধরে, তাদের পালং পাতার রস খেলে উপকার হয়। পালং শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কাঁকড়া বিছে, বোলতা, মৌমাছি, ভোমরা ও বিষাক্ত পোকা হুল ফোটালে বা কামড় দিলে পালং শাকের শেকড় বেটে প্রলেপ দিলে ফোলা ও যন্ত্রণা কমে যায়। ডায়াবেটিক রোগীদের পালং শাক খাওয়া দরকার। তবে যাদের ইউরিক অ্যাসিড আছে, তাদের জন্য পালং শাক খাওয়া একদমই উচিত নয়।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Back to top button