রাজশাহী বিভাগ

রহনপুর নওদা বুরুজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ নওদা বুরুজ (Naoda Buruz) অবস্থিত। দূর থেকে নওদা বুরুজ দেখতে অনেকটা মাটির উঁচু ঢিবির মতো, যা স্থানীয়দের কাছে ষাঁড়বুরুজ পরিচিত। তবে এই অট্টালিকার প্রকৃত নাম শাহুরুজ। শাহ শব্দের অর্থ বাদশা ও বুরুজ শব্দের অর্থ অট্টালিকা। ইতিহাস বিখ্যাত নদীয়া অঞ্চলের কাছে হওয়ায় এই স্থাপনাটি নওদা নামে পরিচিতি লাভ করে।

রাজা লক্ষণ সেনের আমলে রহনপুর বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। বাণিজ্যিক কারণে রহনপুরে লক্ষণ সেন সুরম্য অট্টালিকাসহ অসংখ্য স্থাপনা গড়ে তুলেন। তাই অনেকে মনে করেন, রহনপুরে প্রাক মুসলিম যুগের উন্নত নগরীর অবস্থান ছিল। বাংলা বিজয়ী ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ উদ্দিন বিন বখতিয়ার খলজি রহনপুর হয়ে বাংলায় গমনকালীন নওদা বুরুজে অবস্থান করেছিলেন। প্রচলিত আছে, বখতিয়ার খলজীর আগমনের সংবাদে ভীত স্বতন্ত্র হয়ে রাজা লক্ষণ সেন নদী পথে পলায়ন করেন। দূর দুরান্ত থেকে অনেকে প্রাচীন ঐতিহ্য ও ইতিহাসের খোঁজে এই বিখ্যাত স্থাপনাটি পরিদর্শনে আসেন।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলপথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়া যায়। মর্ডান, হানিফ ও শ্যামলী প্রভৃতি বাস ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চলাচল করে। এছাড়া কপোতাক্ষ, তিতুমীর, সিল্কসিটি কিংবা পদ্মা এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়া যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে ২৮ মাইল পশ্চিমে রহনপুর বাণিজ্য কেন্দ্রের মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর মিলন স্থলে রহনপুর ষ্টেশন থেকে ১ কিলোমিটার দূরে ঐতিহাসিক নওদা বুরুজ অবস্থিত।

কোথায় থাকবেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় হোটেল রাজ, হোটেল আল নাহিদ, হোটেল স্বপ্নপুরী, হোটেল রংধনু, হোটেল নাজমা ও হোটেল স্কাই ভিউ প্রভৃতি আবাসিক হোটেল এছাড়াও অনুমতি সাপেক্ষ্যে জেলা পরিষদের ডাক বাংলো এবং সার্কিট হাউজে থাকতে পারবেন।

কোথায় খাবেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মধ্যে সারুয়ার হোটেল, ভাই ভাই হোটেল, শরিফা হোটেল সহ বেশ কিছু খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ আছে। সুযোগ থাকলে শিবগঞ্জের আদি চমচম অবশ্যই খেয়ে দেখতে পারেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে খনিয়াদীঘি মসজিদ, আলপনা গ্রাম টিকইল,দারাসবাড়ী মসজিদ, তিন গম্বুজ মসজিদ ও ছোট সোনা মসজিদ উল্লেখযোগ্য।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Back to top button