খাদ্য ও পুষ্টি

রক্ত বাড়ায় লালশাক

হিমোগ্লোবিনে পূর্ণ লালচে গোলাপি লালশাক আমাদের দেশের অতি পরিচিত। শাকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রক্ত তৈরী করে। খাবার চিবাতে সক্ষম এমন শিশুদের জন্য লালশাক ভীষণ উপকারী। কারণ শিশুদের প্রচুর পরিমাণে আয়রণ ও আয়োডিন দরকার হয় । আর লালশাক আয়রণের উৎকৃষ্ট উৎস। শিশুর পেটের ও হজমশক্তির অবস্থা বুঝে ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়াতে হবে। বাড়ন্ত শিশু ও পূর্ণ বয়স্কদের জন্যও এ শাক উপকারী। অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা, নিম্ন রক্তচাপ মানে লো ব্লাড প্রেশার, দুর্বলতা, ক্রমশঃ শক্তি কমে যাওয়া, ডায়াবেটিস রোগী, অস্টিও আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় লালশাক অপরিসীম ভূমিকা পালন করে।

গর্ভবতী অবস্থা থেকে শিশুর জন্ম ও মাতৃদুগ্ধ পান পর্যন্ত লালশাক ভীষণ যরূরী। তবে খেয়াল রাখতে হবে গর্ভবতী বেশির ভাগ মায়ের প্রচুর পরিমাণে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে। তাই দুপুরে শাক খাওয়াই ভাল। কারণ ইনটেসটাইন, অর্থাৎ খাবার হজমকারী যরূরী নালিবিশিষ্ট অঙ্গ অধিক রাতে কাজ করে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সচল থাকে বেশি। আর রাতে শাক পরিহার করাই ভাল।

মেনোপোজ বা মাসিক চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীদের হাড় দুর্বল হয়ে আসে। ত্বক ও চুলে আসে বৈরী ভাব। ভংগুর হ’তে থাকে নখ। শরীরে দেখা দেয় আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। লালশাক এ অবস্থায় হ’তে পারে অতীব উপকারী। এ শাক দেহে রক্ত বাড়ায় এবং ত্বক, চুল ও নখের পুষ্টি জোগায়। পুষ্টিমূল্য বিচারে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার জন্য লালশাক উপকারী।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

আরিও দেখুন
Close
Back to top button