খুলনা বিভাগ

আমঝুপি নীলকুঠি, মেহেরপুর

মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত ইংরেজ শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত আমঝুপি নীলকুঠি (Amjhupi Neelkuthi) বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। মেহেরপুর (Meherpur) জেলা থেকে আমঝুপি নীলকুঠির দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। ১৮০০ দশকে প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে এই ভবনটি নীলকুঠি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীতে এখানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিস চালু করা হয়।

কাজলা নদীর পাশে অবস্থিত নীলকুঠিতে প্রবেশের জন্য দুইটি রাস্তা আছে। ৭৭ একরের বেশী জায়গাজুড়ে অবস্থিত নীলকুঠি কমপ্লেক্সের মাঝখানে আছে ১৫ কক্ষ বিশিষ্ট মূল ভবন। মূল ভবনের কক্ষগুলোর মধ্যে আছে খাবারের কক্ষ, হল রুম, অতিথিদের থাকার জায়গা এবং জলসা ঘর। আর ভবনের বাইরে রয়েছে চমৎকার বাগান ও উদ্যান। ১৯৭২ সালে প্রথম বাংলাদেশ সরকার আমঝুপি নীলকুঠি সংরক্ষণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

কিভাবে যাবেন

আমঝুপি নীলকুঠি যেতে হলে প্রথমে মেহেরপুর আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু কিংবা ফেরীতে পদ্মা নদী পার হয়ে মেহেরপুর যাওয়া যায়। রাজধানী ঢাকার কল্যানপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে মেহেরপুর গমনকারী এস বি পরিবহন, জে আর, শ্যামলী এবং আর কে পরিবহনের এসি/নন-এসি বাস ছেড়ে যায়।

এছাড়া ঢাকার গাবতলী থেকে ফেরী পার হয়ে যাতায়াত করে জে আর, রয়েল, এস এম, মেহেরপুর ডিলাক্স, চুয়াডাঙ্গা ডিলাএক্সের বাস। মানভেদে এসব বাসের প্রতিটি সীটের টিকিটের ভাড়া ৫৫০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত।

মেহেরপুর জেলা সদর থেকে বাস কিংবা স্থানীয় যেকোন পরিবহণ ব্যবস্থায় সরাসরি আমঝুপি নীলকুঠিতে যেতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে।

কোথায় থাকবেন

রাত্রিযাপনের জন্য জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, সার্কিট হাউজ, পৌর হল এবং ফিন টাওয়ারসহ বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া গাংনী উপজেলার পলাশীপড়া সমাজকল্যাণ সমিতির রেস্ট হাউজে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

কোথায় খাবেন

মেহেরপুরে খাবারের জন্য বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তবে অবশ্যই আমের মৌসুমে মেহেরপুরে গেলে পাকা আম খেতে ভুল করবেন না। এছাড়া মেহেরপুর শহরে “সাবিত্রী” নামের মিষ্টির স্বাদ চেখে দেখতে পারেন।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

আরিও দেখুন
Close
Back to top button