খুলনা বিভাগ

মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স, মেহেরপুর

মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর উপজেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগরে সৃষ্টি এই ইতিহাসকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত পৌঁছে দিতে শপথ গ্রহণের স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স (Mujibnagar Complex Museum)।

স্মৃতি কমপ্লেক্সের আঙিনায় একটি বড় মানচিত্রের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ১১ টি সেক্টরকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও আছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর স্মারক ম্যূরাল, স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স, ঐতিহাসিক আম্রকানন এবং ঐতিহাসিক ছয় দফার রূপক উপস্থাপনকারী গোলাপ বাগান। মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের বাইরের অংশে ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ এবং পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দৃশ্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিক্রমা জানতে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক এ স্থান দেখতে পর্যটকরা ভিড় করেন মেহেরপুরে।

ওয়েবসাইট: www.mujibnagar.com

কিভাবে যাবেন:

মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স যেতে হলে প্রথমে মেহেরপুর আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু কিংবা ফেরীতে পদ্মা নদী পার হয়ে মেহেরপুর যাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে মেহেরপুর গমনকারী এস বি পরিবহন, জে আর , শ্যামলী এবং আর কে পরিবহনের এসি/নন-এসি বাস রাজধানী ঢাকার কল্যানপুর থেকে ছেড়ে যায়।

আর ঢাকার গাবতলী থেকে ফেরী পার হয়ে যাতায়াত করে জে আর, রয়েল, এস এম, মেহেরপুর ডিলাক্স, চুয়াডাঙ্গা ডিলাএক্সের বাস। মানভেদে এসব বাসের প্রতিটি সীটের টিকিটের ভাড়া ৫৫০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত।

সড়ক পথে মেহেরপুর জেলা সদর থেকে বাস, স্থানীয় যানবাহনের (টেম্পু/নছিমন/করিমন) মাধ্যমে ১৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে যেতে ৩০ মিনিট সময় লাগে।

কোথায় থাকবেন:

মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের একটি আবাসিক হোটেল চালু আছে। এছাড়া জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, সার্কিট হাউজ, পৌর হল এবং ফিন টাওয়ারসহ বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।

কোথায় খাবেন:

মেহেরপুরে খাবারের জন্য বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তবে অবশ্যই আমের মৌসুমে মেহেরপুরে গেলে পাকা আম খেতে ভুল করবেন না। এছাড়া মেহেরপুর শহরে “সাবিত্রী” নামের মিষ্টির স্বাদ চেখে দেখতে পারেন।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

আরিও দেখুন
Close
Back to top button