খুলনা বিভাগ

সুলতান কমপ্লেক্স, নড়াইল

নড়াইল জেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে মাছিমদিয়া গ্রামে বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সুলতান কমপ্লেক্স (S M Sultan Complex) নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৩ সালে চিত্রা নদীর মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রায় ২৭ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত সুলতান কমপ্লেক্সের চারপাশ দুর্লভ প্রজাতির বিভিন্ন সবুজ বৃক্ষে ঢাকা। অজশ্র পাখির কলতান মুখর করে রাখে এই কমপ্লেক্সের সবুজ প্রকৃতির মাঝে শায়িত এস এম সুলতানের সমাধিস্থল। সুলতান কমপ্লেক্সের দ্বিতল আধুনিক ফটোগ্যালারিতে শিল্পীর চিত্রকর্ম ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। প্রায় ৩৮ ফুট লম্বা আর্ট গ্যালারীতে সভ্যতার ক্রমবিকাশ, ধান মাড়াই, জমি কর্ষণ, গাঁতা চাষ সহ মোট ২৩টি ছবি রয়েছে। এস এম সুলতান শিশুদের ছবি আঁকা শিখানোর জন্য নদীতে বজরা নামের একটি “শিশু স্বর্গ” তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত শিশুস্বর্গে বাচ্চাদের ছবি আঁকা শেখানো হয়।

চিত্রশিল্পী এস,এম সুলতানের বাড়িতে নির্মিত এই কমপ্লেক্সকে ঘিরে প্রতিবছর ১০ আগস্ট শিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা ও ৭ দিন ব্যাপী সুলতান মেলার আয়োজন করা হয়। প্রতিদিনই বরেণ্য এই চিত্রশিল্পীর দূর্লভ চিত্রকর্মগুলো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।

প্রবেশ মূল্য ও সময়সূচী

সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯.৩০ হতে বিকাল ৪.৩০ টা পর্যন্ত সুলতান কমপ্লেক্স খোলা থাকে। এস এম সুলতানের স্মৃতি সংগ্রহশালা সপ্তাহের প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে। সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা (জনপ্রতি), শিক্ষার্থীদের প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা (জনপ্রতি)।

যোগাযোগ

কিউরেটর, সুলতান কমপ্লেক্স
মোবাইল – ০১৭১৮-৩৮৪৭৪৪

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বাসে চড়ে পাটুরিয়া কিংবা মাওয়া হয়ে নড়াইল জেলায় যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, নবিনগর ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ঈগল পরিবহন, হানিফ  এন্টারপ্রাইজ ও এ কে ট্রাভেলস এর বাসে করে নড়াইল যেতে জনপ্রতি ৪৫০-৫০০ টাকা ভাড়া লাগবে। নড়াইল জেলা শহর পৌঁছে স্থানীয় যানবাহনে বাঁধা ঘাট যেতে পারবেন। নড়াইল জেলা শহর পৌঁছে রিকশা, ইজিবাইক বা সিএনজি নিয়ে সুলতান কমপ্লেক্সে যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

নড়াইলে ডলফিন, সম্রাট, মর্ডান হোটেল, অরুনিমা রিসোর্ট, চিত্রা রিসোর্টে সহ বিভিন্ন মানের আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।

কোথায় খাবেন

নড়াইল শহরের জিরো পয়েন্ট ও লোহাগড়ায় বিভিন্ন মানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

নড়াইলের দর্শনীয় স্থান

নড়াইলের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে স্বপ্নবীথি পিকনিক স্পট, চিত্রা রিসোর্ট, নিরিবিলি পিকনিক স্পট ও অরুণিমা রিসোর্ট অন্যতম।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

আরিও দেখুন
Close
Back to top button