শাক-সবজি

মুখী কচু চাষ পদ্ধতি

মুখী কচু একটি সুস্বাদু সবজি। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই এর চাষ হয়। মুখী কচু বাংলাদেশে গুড়াকচু, কচু, ছড়া কচু, দুলি কচু, বিন্নি কচু ইত্যাদি নামেও পরিচিত। মুখীর ছড়া বীজ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

পুষ্টি গুণ : মুখী কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ এবং লৌহ থাকে।

জাত : আমাদের দেশে কচু জাতের মধ্যে বিলাসী একটি উচ্চফলনশীল জাত। বিলাসী জাতের গাছ সবুজ, খাড়া, মাঝারি লম্বা, এর মুখী খুব মসৃণ, ডিম্বাকৃতির হয়। সিদ্ধ করলে মুখী সমানভাবে সিদ্ধ হয় ও গলে যায়।

মাটি : বিলাসী জাতের মুখী কচু চাষের জন্য দো-আঁশ মাটি উত্তম।

রোপণের সময় : মধ্য মাঘ থেকে মধ্য ফাল্গুন। মধ্য চৈত্র থেকে মধ্য বৈশাখ।

চারা তৈরি : মুখীর ছড়া বীজ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। রোপণের জন্য মুখীর ছড়া প্রতি শতকে ২ কেজি পরিমাণ দরকার হয়।

রোপণ পদ্ধতি : উর্বর মাটির জন্য সারি থেকে সারির দূরত্ব ৭৫ সেঃ মিঃ গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৪৫ সেঃ মিঃ। অনুর্বর মাটির বেলায় সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সেঃ মিঃ এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৪০ সেঃ মিঃ রাখতে হয়।

বীজ বপণের গভীরতা : বীজ বপণের গভীরত হ’তে হবে ৮ থেকে ১০ সেঃ মিঃ।

সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি : গোবর ৫০ কেজি, ইউরিয়া ৬০০ গ্রাম, টিএসপি ৫০০ গ্রাম, এমপি ৭০০ গ্রাম। গোবর, টিএসপি এবং এমওপি রোপণের সময় এবং ইউরিয়া ৪০-৪৫ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।

পরিচর্যা : সার উপরি প্রয়োগের পর গাছের গোঁড়ার মাটি টেনে দিতে হবে। জমি আগাছা মুক্ত করা, খরার সময় প্রয়োজনে সেচ এবং অতি বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। চাষের সময় মাটি ঝুরঝুরে করে দিতে হবে।

ফসল সংগ্রহ : মুখী কচুর গাছ হলদে হয়ে শুকিয়ে গেলে এ কচু তুলতে হয়। রোপণের পর থেকে ৬-৭ মাস সময় লাগে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

আরিও দেখুন
Close
Back to top button